কলমি শাক অতি পরিচিত একটি শাক। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ও বাংলায় অনেকের প্রিয় ও পরিচিত শাক। এর ব্যাটানিক্যাল নাম Ipomoea reptans (Linn.). পরিবার Convolvulaceae.
উপকারিতা:
১. বিষক্রিয়ায়: ঢলে পড়েছে, হাতের কাছে কিছু নেই, কলমী শাকের রস করে অন্ততঃ এক ছটাক খেলে; শরীর স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
২. প্রথম বয়সের যৌবনের চাঞ্চল্যের কু-অভ্যাসে শরীর হাড়-সার, ঘুমলেই ক্ষরণ, এর সঙ্গে মাথা ধরা, হাত-পা জ্বালা, অগ্নিমান্দ্য, মুখে জল আসা, পড়াশুনা মনে না থাকা ইত্যাদি এ ক্ষেত্রে কলমী শাকের রস ২ চা-চামচ, তার সঙ্গে অশ্বগন্ধা (Withania somnifera Dunal.) মূল চূণ ১ গ্রাম আন্দাজ মিশিয়ে খেতে হয়; অল্প দুধ মিশিয়ে খেলে আরও ভালো। এর দ্বারা তার যেসব উপসর্গ উপস্থিত হয়েছিল সেগুলি তো যাবেই, অধিকন্তু তার ধারণ ক্ষমতাও বেড়ে যাবে।
৩. কোলের শিশু রাত জাগে আর দিনে ঘুমোয়: অনেকের বিশ্বাস রাত্রিবেলায় জন্মালেই বুঝি এই হয়, তা ঠিক নয়; এর জন্য অনেক সময় দেখা যায় তার মল কঠিন হয়েছে এবং দুধে তোলে সে। এ ক্ষেত্রে অল্প গরম দুধের সঙ্গে ২০ থেকে ২৫ ফোঁটা কলমী শাকের রস খাওয়ালে এই উপদ্রব চলে যাবে।
৪. বসন্তের প্রতিষেধক: বাড়িতে জল-বসন্ত কলে যেতে চায় না, এ ক্ষেত্রে কলমী শাকের রস ২ চা-চামচ একটু, গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে প্রত্যহ সকলের খেলে ভালো হয়; এর দ্বারা অন্যান্যরা রক্ষা পেতে পারেন। এ ভিন্ন আশপাশের বাড়িতেও এটা খাওয়া উচিত।
৫. স্তন্যে দুধ বাড়তে: শিশু-পোষণের জন্য যতটুকু দরকার ততটুকুও দুধ নেই, এ ক্ষেত্রে কলমী শাকের রস ৩ থেকে ৪ চা চামচ মাত্রায় একটু ঘিয়ে সাঁতলে খেতে হয়। সকালে ও বিকালে দু’বার খেলেই ভাল হয়। এটাতে দুধ বাড়বেই।
৬. গলারিয়ায়: জ্বালা-যন্ত্রণা, তার সঙ্গে পুজ পড়া, এ ক্ষেত্রে কলমী শাকের রস ৪ থেকে ৫ চা-চামচ অল্প ঘিয়ে সাঁতলে দুইবেলা খেতে হয়। এর দ্বারা কয়েকদিনের মধ্যেই এ জ্বালা-যন্ত্রণা ও পুঁজ পড়া বন্ধ হয়।
৭. ঠুনকো হলে: কলমী বেটে অল্প গরম করে স্তনে লাগাতে হয় এবং ঐ শাকের রস দিয়ে ধুতে হয়; এর দ্বারা বসা দুধ পাতলা হয়ে নিঃসরণের সুবিধা হয় এবং যন্ত্রণাও কমে যায়।
৮. হুলের জ্বালা: বোলতা, ভীমরুল, মৌমাছি প্রভৃতির হুল ফুটানোর জ্বালায় এই কলমী শাক বেটে লাগালে জালা কমে যায়। অগত্যা পক্ষে কলমীর ডগা ঘষে দিলেও উপকার হয়।
৯. নিমুখো ফোঁড়ায়: ভেতরে পুজ হয়েছে, বেরুতে পারছে না, বসে যাচ্ছে, এ ক্ষেত্রে ঐ কলমীর শিকড় ও ডগা একসঙ্গে বেটে ফোঁড়ার উপর প্রলেপ দিতে হয়; এর দ্বারা ফোঁড়ার মতো হয়ে যায়।
রাসায়নিক গঠন:
(a) Hydrocarbons viz, pentairiacotane tiacontance.
(b) Sterol,
(c) Acids viz, melissic acid, behenie acid, butyric acid and myristic acid.
(d) Essential oil=0.08%.
(e) Diferent type of resin-7.27%,
সতর্কীকরণ: ঘরে প্রস্তুতকৃত যে কোনো ভেষজ ওষুধ নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করুন।
তথ্যসূত্রঃ
১. আয়ূর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্রচার্য: চিরঞ্জীব বনৌষধি খন্ড ১, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, প্রথম প্রকাশ ১৩৮৩, পৃষ্ঠা,৯।
আপনি যদি ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, ফোলাভাব, গ্যাসসহ হজমের লক্ষণগুলো কাটিয়ে উঠতে চান, তবে আইবিএস ডায়েট অনুসরণ করার চিন্তা করতে পারেন। কারণ,… Read More
শসার রয়েছে নানা উপকারিতা। তবে সময় বুঝে খেলে তবেই কাজে লাগবে। না হলে হিতে বিপরীতও হতে পারে। প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণের কারণে… Read More
ভেষজ চা চিত্তাকর্ষক পুষ্টিমান, স্বাস্থ্য-উন্নয়নকারী অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ থেরাপিউটিক বৈশিষ্ট্যযুক্ত উদ্ভিদ থেকে তৈরি করা হয়। শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং অসুস্থ হওয়ার… Read More
This website uses cookies.