শরীর সুস্থ রাখতে গেলে প্রত্যেকদিন ফল, শাক সবজি খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আলু হল এমন একটি সবজি যা ছাড়া বাঙালির চলেই না। তরকারিতে, মাছের ঝোলে , মাংসে এমনকী বিরিয়ানিতেও আলু না হলে চলে না। তবে আলু খেলেও আমরা বেশিরভাগ সময়ই আলুর খোসা ফেলে দিই। কিন্তু আদৌ কি সেটা করা উচিত?
সোজা সাপ্টা উত্তর হল না। তার কারণ, প্রচুর গবেষণা, পরীক্ষায় প্রমাণ হয়েছে যে আলুর খোসায় একাধিক পুষ্টিগত গুণ রয়েছে। আলুর খোসা আদতে স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ভাল। আমরা নিশ্চিত আলুর খোসার গুণ সম্পর্কে জানলে আপনি আর কখনও আলুর খোসা ফেলে দেবেন না। তাহলে আর সময় নষ্ট করে লাভ কি। চলুন দেখে নেওয়া যাক আলুর খোসার কী কী গুণ রয়েছে।
প্রথম সুফল আলুর খোসায় প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম এবং মিনারেল রয়েছে। যা শরীরের রাসায়ানিক প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। পটাশিয়াম আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে সচল রাখার ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারি। এক একটি আলুর খোসা থেকে আমরা ৬০০ গ্রাম পটাশিয়াম পেতে পারি। যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
দ্বিতীয় সুফল আমরা অনেকেই জানি না আমাদের প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ১৬ মিলিগ্রাম করে নিয়াসিন শরীরের জন্য প্রয়োজন। কিন্তু এই নিয়াসিন আমাদের শরীর পাবে কোথা থেকে। তার সমাধানও আলুর খোসায়। আলুর খোসা থেকে প্রয়োজনীয় নিয়াসিন আপনি পেতে পারেন। যা আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
তৃতীয় সুফল আলু থেকে আমরা প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল এবং কার্বোহাইড্রেট পাই। আলুর খোসা থেকেও আমরা একই উপাদান পাই। তাই যদি আমরা আলুর খোসা না ছাড়িয়ে খাই তাই এই প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল এবং কার্বোহাইড্রেট আমরা বেশি করে পাব। যা শরীরকে আরও শক্তিশালী ও রোগ প্রতিরোধক করবে।
চতুর্থ সুফল আয়রন হল শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আয়রণ রক্তের কণিকার স্বাভাবিক কার্যপ্রণালীকে সক্রিয় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রত্যেকদিন ৩-৫টি খোসা আমাদের শরীরকে ৪ মিলিগ্রাম লোহা বা আয়রনের জোগান দেয়।
পঞ্চম সুফল যাদের হজমশক্তি দুর্বল তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে আলুর খোসা খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। কারণ, আলুর খোসায় প্রচুর পরিমানে ফাইবার আছে। ফাইবার আমাদের শরীরের হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। আলুর খোসা গুরুপাক খাবারও সহজে হজম করতে সাহায্য করে।
ষষ্ঠ সুফল আলুর খোসায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার ফলে হজমশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি আরও একটি উপকার হয়। আর তা হল শরীরের অতিরিক্ত গ্লুকোজ শুষে নেয় আলুর খোসা ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। যদিও ডায়বেটিসে আলু খেতে মানা করে। তবে আলু যদি খোসা সমেত সিদ্ধ করে জল ফেলে দিয়ে রান্না করা হয় বা খাওয়া হয় তাতে খুব একটা ক্ষতি হয় না।
এলাচি ছোট্ট একটি মসলা। অথচ সেটিতেই হতে পারে মুশকিল আসান। পেটে গ্যাস জমলে এই এলাচিতে মিলতে পারে সমাধান। খাওয়ার পরে… Read More
আপনি কি জানেন, পুদিনা মস্তিষ্কের সুরক্ষা দিতে এবং ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে? সতেজ পুদিনাপাতার রস বা চা স্বাদের জন্য দুর্দান্ত।… Read More
নগরজীবনে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত পরিবেশ এক অনুপেক্ষণীয় বাস্তবতা। এর সঠিক ব্যবহার ও যন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করা গেলে এড়ানো যাবে অনেক ধরণের স্বাস্থ্যঝুঁকি।… Read More
This website uses cookies.