আমি ডাক্তার নই, কিন্তু মানুষ কিভাবে ঔষধ ছাড়া সুস্থ হবে তার উপায়গুলো বলি। জীবনধারা ও আকুপ্রেসার দিয়ে মানুষ তার কঠিন জটিল রোগ থেকেও মুক্ত হতে পারে।
প্রকৃতি নির্ভর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে পড়াশোনা, প্রয়োগ এবং গবেষণা করতে গিয়ে যা জানলাম তা হলো মানুষ অসুস্থ হচ্ছে শুধুমাত্র লাইফ ষ্টাইলের কারণে, মানুষের অসুখ বিসুখ যা হচ্ছে তার বড় অংশ পরিবেশ দূষণ বিশুদ্ধ পানির অভাব, বিষাক্ত রাসায়নিকে উৎপাদিত খাদ্যই মানুষের অসুখের বড় কারণ। সেই সাথে ভূল খাবার! যেমন- যে খাবার সকালে খেলে ভাল রাতে খেলে খারাপ সেই সকল খাদ্য গ্রহণের কারণে খাদ্যেও গুণাগুন পাওয়া যাচ্ছে না বরঞ্চ খাদ্য বিষ হয়ে আামদের শরীর বিষাক্ত করে দিচ্ছে পরিণামে অসুখ।
অসুস্থ্য হলে আমাদের ডাক্তার, হাসপাতাল, ঔষধ নির্ভর ব্যবস্থা মুনাফা কেন্দ্রিক হওয়ায় স্বাস্থ্য সেবা আশা করা যায় না, স্বাস্থ্য সেবা ক্রয় করতে হয়। বহুজাতিক কোম্পানীদের মুনাফা লাভের আগ্রাসী বিপণন ব্যবস্থা স্বাস্থ্যখাতকে করে তুলেছে এক বিষাক্ত কারখানা।
মানুষ ঔষধ খেলে রোগ থেকে সেরে উঠে না, দিনের পর দিন ঔষধের লিস্ট বড় হতে থাকে, মানুষ ঔষধ খেয়ে মারা যায় কোন কারণ না জেনে।
কিন্তু আমাদের দেশে প্রাণপ্রাচুর্য ভরা প্রকৃতিতে এমনভাবে অসুস্থ হওয়ার কোন কারণ নেই যদি মানুষ প্রকৃতিটা বুঝতো!
আমাদের প্রাচীন চিকিৎসা ব্যবস্থার মধ্যে হালে নামকরণ “ন্যাচারোপ্যাথি” সব সময় ছিল, সাথে আর্য়ূবেদ জ্ঞানটা আমাদের মানুষের মধ্যে ছিল। আধুনিকের সাথে আমাদের প্রাচীন ব্যবস্থাগুলো বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যেটুকু টিকে আছে তা আর আমাদের আর্কষন করে না। জীবন ব্যবস্থা হয়ে উঠেছে বিকৃত খাদ্যব্যবস্থা নির্ভর।
বাংলাদেশে প্রতিবছর লাখ লাখ পরিবার শুধু আপনজনের চিকিৎসা করতে গিয়ে ভিটিমাটি, ব্যবসা, জমানো টাকা খরচ করে নিঃশ্ব হয়ে যাচ্ছে।
এই থেকে মানুষ কে বের করার জন্য আমার জ্ঞান ধ্যান।
আমার জন্মে পুরোনো ঢাকায় লালবাগে, বড় হয়ে উঠাও পুরোনো ঢাকায়। পড়াশোনা শেষে সাংবাদিকতা করি, পরে পরিবেশ নিয়ে লেখালেখি সাথে স্বাস্থ্য নিয়ে পড়াশোন। আমার কাছে মনে হয়েছে “ন্যাচারোপ্যাথি” গ্রহণ করলে মানুষ স্বাস্থ্যজণিত মহাচক্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে। তাই আকুপ্রেসার ও খাদ্য পথ্য নিয়ে কাজ করা। আকুপ্রেসার এমন একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা যা মানুষ নিজে নিজে করতে পারবে, রোগ বেড়ে উঠার আগেই জানতে পারবে, কোন টেষ্টের প্রয়োজন হবে না, সাথে খাদ্য পথ্য থাকলে কঠিন রোগও সারা সম্ভব।
আমার লেখা বইসমূহ:
প্রকাশিত হতে যাচ্ছে:
This website uses cookies.